আবিদ জাহিন খান(রাফি)
বার্তা সম্পাদক,আপডেট বাংলাদেশ….
বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শোষিত শ্রমজীবীর আস্থার মানুষ, যিনি শোষকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সর্বহারা শ্রেণির পক্ষে অবিরত সংগ্রাম করছেন। তিনি ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী।
১৯৯০ সালের ৫ এপ্রিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্তী ও মাতা রিনা চক্রবর্তীর ঘরে জন্মনেন মনীষা চক্রবর্তী।তিন বোনের মধ্যে ডা. মনীষা চক্রবর্তী সর্বকনিষ্ঠ। দাদা বিশিষ্ট আইনজীবী সুধীর কুমার চক্রবর্তীকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় স্থানীয় রাজাকার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে। প্রগতিশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা মনীষা চক্রবর্তী এইচএসসি পাসের পর ভর্তি হয়ে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাস করেন।৩৪ তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হলেও সরকারী চাকুরীতে যোগ না দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা,সবধরনের নিপীড়ন ও বৈষম্য, নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ও অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।ধীরে ধীরে মানুষের সেবা দেয়ায় নাম উঠে “গরিবের ডাক্তার”, সকলের নিকট প্রিয় ওঠে “দিদি”।রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও তার প্রতি স্বচ্ছ সমর্থন আছে প্রতিটা মানুষের।ব্যাক্তি হিসাবে ছুঁয়েছেন প্রতিটা মানুষের নির্ভরতার জায়গা।
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সেবা,জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরন ও সেমিনার,মাস্ক, সেনিটাইজার বিতরণসহ ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা ছিলেন। ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া,করোনা কালীন সময়ে লাশ দফন,সৎকার,রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেওয়া, বাড়ি বাড়ি গরিবদের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া ব্যাপক সুনামের সাথে প্রতিটা মানুষের আস্থার আলো হয়ে উঠছেন।
বর্তমানে মনীষা চক্রবর্তী বরিশাল জেলা শাখায় বাসদের নেতৃত্বে আছেন।তবে তার মত রাজনীতিবীদের কি কোন ধর্ম,জাত,পাত,বর্ণ, শিক্ষিত – অশিক্ষিত তকমা দিয়ে পার্থক্য করা যায়! পবিত্র ইদুল ফিতরের সময়ে নগরীর ৩০ টি ওয়ার্ডে মেহনতি মানুষের জন্য রান্না করা খাবার পরিবেশন করা, গরিবদের সাহায্য করা।ধর্মে ঊর্ধ্বে থেকে সনাতনী হয়েও ইদুল আজহার সময় গরুর মাংস বিতরন করা, যা সকলের নিকট প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গেছে।
বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিটা দেশ যখন সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে,তারুণ্যে নেতৃত্ব আসছে ঠিক তখনই মনীষা চক্রবর্তীর রাজনীতিতে প্রবেশ আশার আলো,মুক্তির আগমনী বার্তা বহন করে।মনীষা চক্রবর্তীর মধ্যে খুঁজে পাওয়া বাংলা নারী সমাজের আলোকবর্তীকা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নারী নেতৃত্ব ও নারী শিক্ষার প্রসার,নোবেল জয়ী মাদার তেরেসার সকল গুন।
ফুটে আসে ইতিহাসের বিখ্যাত ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল এর চরিত্র,যিনি তার নাসিং পেশাটাকে পেশা হিসাবে নয় সেবা হিসাবে দেখছেন। ঠিক তেমনি মনীষা চক্রবর্তীও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার সার্ভিসে যোগ না দিয়ে নিজের পেশাটাকে পেশা নয় বরং সেবার সাথে তুলনা করেছেন।তাই মনীষা চক্রবর্তী প্রতিকী নাম “বাংলার নাইটেঙ্গেল”।জন্মদিনের শুভ কামনা বাংলার নাইটেঙ্গেল খ্যাত মনীষা চক্রবর্তীর প্রতি।আপডেট বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে জন্মদিনের বিশেষ দিনে তার প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সবসময়।
কমেন্ট করুন