ডেস্ক রিপোর্টঃ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভায় অবস্থিত জয়দেব সাহা মিস্টান্ন ভান্ডারের তিন কর্মচারীর উপর হামলার অভিযোগে কলেজ শিক্ষক জাকির জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
জাকির জোমাদ্দার বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়নের বেবাজ গ্রামের মৃত উমর আলী জোমাদ্দারে পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত জয়দেব সাহা মিস্টান্ন ভান্ডার ও রেস্টুরেন্টে জাকির জোমাদ্দার সন্ধ্যা ছয়টায় , নাস্তা খেতে যায়, দোকানের কর্মচারীর নিকট তিনি আলুর চপ ও পেঁয়াজু দেয়ার জন্য বলে, কর্মচারী তাকে তার অর্ডার করা খাবার দিয়ে চলে যায় ,খাওয়ার শেষের দিকে, কর্মচারীকে ডাকদেন কর্মচারী গিয়ে জিজ্ঞেস করেন স্যার কিছু প্রয়োজন, সে বলেন তোর ম্যানেজারকে ডাক, তার কথামত কর্মচারী কেশকাউন্টারে গিয়ে ম্যানেজারকে বলেন ঐ স্যারে নাস্তা খাইতে আছে সে আপনাকে ডাকতেছেন, কর্মচারীর কথা অনুযায়ী ম্যানেজার সেখানে উপস্থিত হন, তাঁকে জিজ্ঞেস করেন স্যার কোনো সমস্যা, এই কথা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই ম্যানেজারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে ম্যানেজারকে মারধর করে হত্যা উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে ও দেয়ালের সাথে সজোরে মাথায় আঘাত করতে থাকেন।ম্যানেজারকে মারধর করতে দেখে রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছাড়িয়ে দিতে গেলে তাঁকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে মারধর করে ও জবাই করবে বলে হুমকি দিয়ে রেস্টুরেন্টের ভিতর থেকে বাহিরে বের হতে সামনে রেস্টুরেন্টের কারিগর (খাবার প্রস্তুতু)কারীকেও মারধর করে রাস্তার উপরে চেপে ধরেন, বিষয়টি আশেপাশের দোকানদারেরা ও রাস্তায় চলাচল রত সাধারণ মানুষ শিক্ষক জাকিরের হাত থেকে ছাড়িয়ে দেয়।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, জাকির জোমাদ্দার বাকেরগঞ্জ রতনা আমিন মহিলা কলেজর আই. সি. টি. শিক্ষক। নিজেকে প্রফেসর ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন, বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মহিলা মাদ্রাসা রোডে নিজ প্রফেসর ভবন নামের বাড়িতে বসবাস করেন।
জয়দেব সাহা মিস্টান্ন ভান্ডারের প্রোপাইটার শুভ সাহা বলেন আমার আরেকটি দোকান আছে একই নামে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাহেবগঞ্জ সাবরেজিস্টার সংলগ্নে,ঐ দোকান টি আমি পরিচালনা করি , আর বন্দরে দোকান টি ম্যানেজার দিয়ে পরিচালনা করাই।ম্যানেজার আমাকে জাকির জোমাদ্দার সম্পর্কে একদিন বলেছেন প্রফেসর জাকির স্যার নাস্তা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায় সেই সময়ে তার কাছে খাবার বিল চাইলে তিনি টাকা দিবেন না, ও সে নাকি বড়ো সাংবাদিক ব্যবসা করতে হলে তাকে নাকি টাকা দিতে হবে , প্রথমে বিষয়টি আমি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখি নাই , যে তার মতো লোক একাজ করতে পারে না, দ্বিতীয় দিন ম্যানেজার আবারো আমাকে জাকির জোমাদ্দারের বিষয়ে একই কথা বলে ম্যানেজার। আমি ম্যানেজারের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যাই, পরে চিন্তা করি আমি যে হেতু এই দোকানে সময় দিতে পারি না , সাহেবগঞ্জের দোকান পরিচালনার জন্য, এছাড়াও ভালো মন্দ বিষয় আছে ভেবে দোকানে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যেগ নেই, গত সপ্তাহে দোকানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, এরিমধ্যে গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ২৩) তারিখে সন্ধ্যা ছয়টায় নাস্তা খেতে এসে আমার দোকানে কর্মরত তিন কর্মচারীর সুশান্ত মুখার্জি , অন্তর মধু, নিখিল মালাকরের উপর হামলা করে। দোকানের মালিক শুভ সাহা আরো বলেন ম্যানেজারের কথাই সঠিক মনে হচ্ছে , সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে তার কাছে খাবার বিল চাওয়া ও চাঁদার টাকা তাকে না দেয়ার কারণে ম্যানেজারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন, যা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে। ও থানা পুলিশের কাছে সিসি ফুটেজ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জয়দেব সাহা মিস্টান্ন ভান্ডারের প্রোপাইটার শুভ সাহা বাদী হয়ে (৪ অক্টোবর) মামলা দায়ের করেন বাকেরগঞ্জ থানায়। যাহার মামলা নং ৩
মামলার বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানা ওসি তদন্ত মোস্তফা জানান জয়দেব সাহা মিস্টান্ন ভান্ডারের প্রবেশ করে তিন কর্মচারীর উপর হামলার ঘটনায় কলেজ শিক্ষক জাকির জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা এজাহার হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
কমেন্ট করুন