পটুয়াখালীতে পঞ্চম শ্রেনীর এক স্কুল শিক্ষার্থী (১১)কে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে । এমন অভিযোগে আল আমিন(৩৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য।
আল-আমিনের দেখানো স্থানে জাল ফেলে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ।
এদিকে রবিবার ( ৮ জানুয়ারি) ওই শিশু শিক্ষার্থী বাবা বাদি হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আলআমিন বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বলেন, আল-আমিনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শিশুর লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দিয়েছেন সে । লাশ উদ্ধারের জন্য অভিযুক্ত আল-আমিনকে সাথে নিয়ে নদীতে অভিযান চালানো হয়েছে। তার দেখানো স্থানে জাল ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ।
শুক্রবার ( ৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলর চর আন্ডা গ্রামে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই শিশুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর স্বজনরা নদীর পাড়ে ভিড় করছেন লাশের জন্য ।
অভিযুক্ত আল আমিন রাঙ্গাবালী উপজেলার চর আন্ডা গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে। পেশায় সে একজন অটোরিকশা চালক।
পুলিশ ও ওই শিশু শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চরআন্ডা বাজারে যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে। বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশা চালক আল আমিন হাওলাদার তাকে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাসের ধান ক্ষেতের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ডাক- চিৎকার দিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় । পরে লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরদিন শনিবার সকালে ওড়না ও বাজার থেকে কেনা জনিসপত্র ধান ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা । পরে বিভিন্ন আলমত এবং আল-আমিনের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে অসে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এঘটনায় থানায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আজকে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
অপূর্ব সরকার
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
কমেন্ট করুন