ডেস্ক রিপোর্টঃ
আজ সকাল ১১টায় বাসদ বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি ও দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সন্তু মিত্র, বাসদ জেলা শাখার সদস্য শহিদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ১৩ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন শিকদার। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক খান মনিরুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও দেশে গনতন্ত্র নাই, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষের জীবন জর্জরিত। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় না অথচ মাছ-মাংস-চালের স্বাধীনতা চাওয়া নিয়ে একটি কার্ড প্রচার করাকে কেন্দ্র করে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবার কথা বলে দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, মাছ-মাংস-চালের স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হলে আমরা সবাই এই অপরাধে অপরাধী, ১৬ কোটি মানুষকে আপনারা গ্রেফতার করুন।
বক্তারা বলেন, সরকার জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে বলে ভাবমূর্তি নিয়ে অতিসতর্ক হয়ে প্রতিবাদের সম্ভাবনা দেখলেই স্টীম রোলার চালাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত নিবর্তনমূলক আইনে সংবাদকর্মীদের এভাবে গ্রেফতার করা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি ও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বক্তারা নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে নওগাঁর সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কমেন্ট করুন