1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : Admin. :
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
শার্শার বেনাপোলে ১৭টি স্বর্ণের বার সহ ১ চোরাকারবারি আটক পটুয়াখালীতে জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার কর্তৃক অর্থ সহায়তা প্রদান ভোলার গ্যাস ঢাকায় সরবরাহের চুক্তি দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা; অবিলম্বে বরিশালে গ্যাস সংযোগের দাবিতে বাসদের বিক্ষোভ পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা হুমকির প্রতিবাদে আলহাজ্ব অ্যাড. আরিফুজ্জামান রনির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঝিকরগাছায় পৃথক জায়গায় একই দিনে দুই গৃহবধূর আত্মহত্যা, অপমৃত্যুর মামলা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ঝিকরগাছায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল পটুয়াখালীতে উপকূলীয় বন বীভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ‘জীববৈচিত্র্য দিবস’ ২০২৩ পালিত পটুয়াখালীতে ভূমিসেবা সপ্তাহ উদ্বোধন পটুয়াখালীর গলাচিপাতে ১৮ পিস ইয়াবা সহ এক ব্যক্তি আটক
দেশের সকল জেলা,উপজেলা ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অবশ্যক।আগ্রহীগন যোগাযোগ করুন।

Www.updatebangladesh0@gmail.com

ছাত্রলীগের নেপথ্যে তৈরী হচ্ছে ছাত্রদল!

  • আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

অপূর্ব সরকার,
স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী।

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রথম পদক্ষেপেই সমালোচনার সৃষ্টি।

গত ১৫ই মার্চ (বুধবার) রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগ ও রাঙ্গাবালী কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীসভা করে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ । পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ভঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেয়া হয় রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগ ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি। কর্মীসভার এক সপ্তাহ পর গত ২২ মার্চ (বুধবার) পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের ফেজবুক আইডি থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

তবে এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ১০ টি নির্দেশনা প্রদান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। যার মধ্যে রয়েছে- জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ব্যতীত তাদের অধীনস্থ কোন ইউনিটের কমিটি গঠন করা যাবে না।

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি দেয়ায় না না মহলে তৈরি হয় সমালোচনার ঝড়। এরই মাঝে প্রকাশ্যে আসে আর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গুঞ্জন শোনা যায় রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়া একাধিক নেতার সাথে রয়েছে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা। কারো পরিবার বিএনপির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট কেউ আবার পূর্বে সরাসরি জড়িত ছিলো নিজেই।
সমালোচনা জেনো পিছু ছাড়ছে না সাইফুল-আরিফের। জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠনের দিনই সমালোচনার বোঝা কাঁধে চেপে বসে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফের।

গত বছরের ৯ নভেম্বর (বুধবার) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাইফুল ইসলামকে সভাপতি এবং তানভীর হাসান আরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ’কে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল করে তার সমর্থকরা। ওই আনন্দ মিছিলে বিএনপি ও শহীদ জিয়ার স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে। এমন নেক্কার জনক ঘটনায় তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেন। 

শুরু থেকেই জেনো বিএনপির গন্ধ লেগে আছে জেলা ছাত্রলীগের গায়। নেতা-কর্মীদের মাঝে তৈরী হয় হতাশার।

এ ঘটনার রেস কাঁটতে না কাঁটতেই আবার শুরু নতুন ঘটনার।

• রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন। যাকে দেখা যায় জেলা বিএনপির ফ্রন্ট লাইনের নেতাদের সাথে একই ছবির ফ্রেমে। এই ছবি সংগ্রহীত রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় একসময় ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলো এই আরিফ। এখনো আড়ালে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বিএনপির সঙ্গে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ফেজবুকে বিভিন্ন লেখালেখি চলছে।

রাঙ্গাবালী বার্তা নামের একটি ফেজবুক পেইজ থেকে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে – ‘ছাত্রদলের ছেলেগুলোকে রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগে যায়গা দেওয়ায় ধন্যবাদ সাইফুল-আরিফ।’

• রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মাহমুদ হোসেন টিটু। যার আপন চাচা মোঃ শাহিন ফরাজী ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি এখনো সরাসরি যুক্ত আছেন বিএনপির রাজনীতিতে।
কমিটির ২ নং সহ-সভাপতি মোঃ ইমরান মাহমুদ। যার আপন চাচা মোঃ আব্বাস উদ্দীন হাওলাদার বর্তমান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

• কমিটির ৬ নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিমুল। যার মা মোসাঃ সাহিদা গাজী ১৫ নং চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য।

প্রথমে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকজন যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোঃ রায়হান এর নাম দিয়ে ২৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ফেইজবুকে প্রকাশ করে সভাপতি-সম্পাদক।

• অলৌকিক ক্ষমতায় শেষে যুক্ত হওয়া এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রায়হান সরাসরি জড়িত বিএনপির রাজনীতিতে। রায়হানের নিজের তোলা একটি সেলফিতে রায়হানকে দেখা যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব এ বি এম মোশাররফ হোসেনের সাথে। এই ছবি নিজের ফেজবুক আইডিতে পোষ্ট করেন রায়হান। এই পোস্টের স্ক্রিনশট ও বিএনপি নেতার সাথে রায়হানের সেলফি সংগ্রহীত।

এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ১৫ জনের মতোই রাজনীতির সঙ্গে খুব একটা জড়িত নয়। আর কমিটির বাকি প্রায় ১০ জনের সাথেই রয়েছে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা। এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা কর্মী জানান, জেলা কমিটির নেতাদের সাথে কোনভাবে সমন্বয় না করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একক ক্ষমতা বলে কমিটি করেছে। জেলা ছাত্রলীগের সুপার কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় না করে একক ক্ষমতা বলে কিভাবে কমিটি গঠন করা হয়? এমনটাই প্রশ্ন জেলা ছাত্রলীগের একাধীক নেতৃবৃন্দের।

রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নেছার খান বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে পারি কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তারা ননপলিটিক্যাল। কখনো তেমনভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো না। আর বাকি যারা আছে তাদের বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। ছাত্রলীগের জন্য বহুবার হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি। অনেক শ্রম দিয়েছি। আমাকে কমিটিতেই রাখলো না। যাদের রাখলো তাদের এই অবস্থা।আমি নেই ঠিকাছে, তাও মেনে নিলাম। কিন্তু যাদের কমিটিতে রাখছে তারা যদি যোগ্য হতো তবে আমার কোন বক্তব্য থাকতো না।

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রথম পদক্ষেপে এত বড় ভুল কিভাবে হলো? নাকি জেনে শুনেই বিএনপি জামাত সংশ্লিষ্ট ছেলেদের কমিটিতে এনেছে। এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা মহলে।

আরও অবাক করা বিষয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফকে নিয়েও রয়েছে বিএনপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। তার পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আরিফের বাবা জামান গাজী পটুয়াখালী পৌর বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পাদক। এ নিয়ে জেলা কমিটি গঠনের পূর্বে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। আরিফের এই বিএনপি সংশ্লিষ্টতার খবর জানতো তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বয়ং। তবুও অলৌকিক ক্ষমতা বলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে অধিষ্ঠিত হয় তানভীর হাসান আরিফ।

বাবার ও পরিবারের বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকার ব্যাপারে আরিফ’কে মুঠোফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, আমি ও আমার পরিবার যদি বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতাম তবে আজকেতো আমি জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি,এই পর্যায়ে আসতাম না।যাইহোক আপনি দেখেন খোঁজ নিয়ে দেখেন।

এই বলে প্রসঙ্গ বদলানোর চেষ্টা করলে আরিফকে ফের প্রশ্ন করা হয় – যদি সত্যি এই ঘটনা মিথ্যে হয়ে থাকে তবে কেনো আপনি এর কোন প্রতিবাদ করলেন না কেনো? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রতিবাদ না করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, আমার এই ঘটনার কোন ভিত্তি নাই। এগুলো মিথ্যা। এছাড়া স্পষ্ট কোন উত্তর মেলেনি সাধারণ সম্পাদককের বক্তব্যে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সহ অভিযুক্ত ৫ জন সদস্য কিভাবে কমিটিতে আসলো এমন প্রশ্নের জবাবে আরিফ জেনো সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিশ্চুপে মেনে নিয়ে কারো বিষয়ে কোন কথা না বলে শুধু বলেন উপজেলা ছাত্রলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতির কথা। তিনি বলেন, আপনি প্রথমে কি বললেন সভাপতি বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্ট? কিন্তু আমরা জানি এই ছেলে এর আগে উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলো। ও স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগ করে৷ তাছাড়া আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ, স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেই কমিটি দিয়েছি। এরপরেও যদি এমন অভিযোগ থেকে থাকে আর তা যদি সত্যি হয় তবে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের নব-গঠিত কমিটির এই আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে মুঠোফোনে প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি ব্যস্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে, পরে যোগাযোগ করতে বলে ফোন কেঁটে দেয়। তার পরবর্তীতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। যদি বিএনপি ঘরানার কেউ থেকে থাকে আর তার প্রমাণ যদি থাকে তবে আপনারা পত্রিকায় প্রকাশ করুন। এ বিষয়টায় আমাদের প্রতিবাদ আছে। প্রানের এই সংগঠনকে কেউ কলুষিত করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ প্রমান হাতে পেলে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানাবো। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা যাতে নেয়া হয় সে বিষয়ে কথা বলবো৷

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান বলেন, যদি সত্যিই এমনটা হয়ে থাকে আপনারা পত্রিকায় দিয়ে দিন। আমাদের কোন আপত্তি নাই। আমরা সবকিছু সঠিক থাকলে আপনাদের সহযোগীতা করবো৷ এবং কথা দিলাম অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। এই বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন