1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : Admin. :
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বাবার সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না রাজবাবুর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি -এলডিপি শার্শায় নিজ বাড়ির আঙ্গিনা থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার বেনাপোলে ৩৫৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১ মাদক চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ কেশবপুরে মায়ের বিরুদ্ধে জমজ সন্তানকে হত্যার অভিযোগ শিশুর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে শার্শার যুবক কলারোয়ায় নিহত আইন অনুসরণ না করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার অভিযোগ-বিজেএএফ বেনাপোলে ২১টি ককটেল উদ্ধার পটুয়াখালীতে  চাঞ্চল্যকর চুরি হওয়া ৪২ রাউন্ড গুলিসহ ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার; গ্রেফতার-১ মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি স্থগিত, পিপি অসুস্থ!
দেশের সকল জেলা,উপজেলা ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অবশ্যক।আগ্রহীগন যোগাযোগ করুন।

Www.updatebangladesh0@gmail.com

কলাপাড়ায় অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ খেয়া পারাপার কারিদের

  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

কলাপাড়ায় খেয়া পারাপারকারীরা বলেন সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা নেই। নেই কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা, কেবল মাত্র নদী পারাপারের জন্য খেয়ায় চড়লেই গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। আর রাতের চিত্র আরও ভয়াবহ।

জরুরি কাজে পারাপার কিংবা অসুস্থ রোগী নিয়ে নদীর ওপারে পৌঁছাতে হলে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে গ্রামীন জনপদের খেয়াঘাট ইজারাদারদের নৈরাজ্য ভুক্তভোগীরা বলছেন, মানুষের সেবা নয়, খেয়া পারপারের নামে এসব ঘাটে চলছে নিরব চাঁদাবাজী। কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর ও ফতেহপুর খেয়াঘাটের এ চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর ওপারেই পার্শ্ববর্তী উপজেলা তালতলীর শিয়ারিপাড়া ও নিউপাড়া খোয়াঘাট। প্রতিদিন এসব খেয়াঘাট দিয়ে হাজারো মানুষের পারাপার। তবে এই খেয়াঘাট গুলোতে যাত্রী পারাপারে সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা টানায়নি ইজারাদাররা। ফলে ইচ্ছেমত খেয়া যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। জনপ্রতি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বিশ টাকা। আর রাত হলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। অসুস্থ রোগী কিংবা জরুরী প্রয়োজনে পারাপার হতে হলে গুনতে হয় ১শ’ থেকে দেড় শতাধিক টাকা। আর চড়া মূল্য আদায়ে প্রতিবাদ কিংবা দর কষাকষি করলেই হতে হয় লাঞ্চনার শিকার।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, ওই এলাকায় বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খেয়াঘাটে ভাড়ার নামে চাঁদা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ফতেহপুর খেয়াঘাটের যাত্রী দেলোয়ার হোসেন বলেন, কুয়াকাটায় ব্যবসার কাজে প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে পার হতে হয় তাকে। কিন্তু নিরুপায় হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ার নামে চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। একই অভিযোগ যাত্রী মোশারেফ,উত্তম কুমার নাথসহ অনেকের।

অপরদিকে দৌলতপুর খেয়াঘাটের চিত্র একই। এই ঘাটদিয়েও জনপ্রতি আদায় করা হচ্ছে বিশ টাকা। ঠিক এই ঘাটেও রাতের পারাপারে যাত্রীদের দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা। এই ঘাটের যাত্রী মিনারা বেগম বলেন, মেয়েবাড়ি যাচ্ছেন নাতি-নাতনিদের দেখতে। তবে বিশ টাকা ভাড়া দিতে কষ্ট হয়েছে তার। ১০ টাকা হলে ভালো হত। এই ঘাটের একাধিক যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত যাত্রী ভাড়া তালিকা না থাকায় ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে ঘাট পরিচালনাকারিরা। আর এতে ঘাটগুলোতে বছরে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।

দৌলতপুর ঘাটের ইজারাদার সুমন শিকদার বলেন, প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় দুই উপজেলা সংশ্লিষ্ট হওয়ায় (আন্তঃজেলা) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ঘাট ইজারা নিয়েছেন। তিনি মাঝিকে সরকারি তালিকানুযায়ী ভাড়া আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে মাত্র দুই লাখ টাকায় ফতেহপুর ঘাট ইজারা নেয়া কাশেম সরদারের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, বিভাগ থেকে ওইসব ঘাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

অপূর্ব সরকার,
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন