পটুয়াখালীতে বন বিভাগের মামলায় তহসিলদার মোঃ জাকির হোসেন এখন শ্রীঘরে । মামলা ও আদালত সূত্রে জানাগেছে পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরকারি সংরক্ষিত বনে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ ও গাছ কেটে পাচার করার অভিযোগ মামলার (মামলা নং-০২/আগ,০২/জিপি-১৫ অব ২০২২-২৩) তহসিলদার মোঃ জাকির হোসেনসহ ১০ আসামী ৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রহমান জামিন না মঞ্জুর করে ৫ নং আসামী তহসিলদার (মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন) মোঃ জাকির হোসেনকে সহ নয়জনকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। মামলার ৯ নং আসামী রেনু আক্তার গর্ভবতী হওয়ায় মানবিক বিবেচনায় তাকে জামিন দেন বিজ্ঞ বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগের গলাচিপা উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ মনিরুল ইসলাম। জেল হাজতে প্রেরিত অপর ৮ আসামীরা হলেন- চরবিশ্বাস ইউনিয়নের হলেন দক্ষিণ চরবিশ্বাস গ্রামের শাহিন(৩৫), রিপন প্যাদা (৪০), জামাল প্যাদা (৩৫), মন্নান মাতুব্বর (৪৫),
কাওছার (২৫), মাহাবুব প্যাদা (৫৫), দেলোয়ার হোসেন (৫৫) ও আনোয়ার মৃধার (৫০)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর চর আগস্তি ফরেস্ট ক্যাম্প অধীন দক্ষিণ চরবিশ্বাস গ্রামের আমগাছিয়া লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে সৃজিত বনে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও গাছ কাটার অপরাধে চর আগস্তি ফরেস্ট ক্যাম্পের বিট কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই বাদি হয়ে ১৯২৭ সনের বন আইনের যাহা ২০০০ সনে সংশোধিত ২৬ (১ক) ধারা ও একই ধারার (খ) ও (ঙ) উপধারা মতে অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় উল্লেখিত মোঃ জাকির হোসেনসহ ১০ জনকে আসামী করে উক্ত আদালতে একটি মামলা করেন।
প্রকাশ, আসামি মোঃ জাকির হোসেন ঘটনাকালিন সময় চরবিশ্বাস ইউনিয়নের তহসিলদার হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে তহসিলদার পদে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুর রহমান জানান মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের তহসিলদার জাকির হোসেন জেল হাজতে গেছেন, আজ (সোমবার) আমার অফিসে এসে তার (জাকির হোসেন) স্ত্রী রেনু আক্তার জানিয়েছেন।
অপূর্ব সরকার
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
কমেন্ট করুন